অপ্রিয় সত্য
![]() |
জামায়াত ও নারীনেতৃত্ব |
খালেদা জিয়াকে একটি দলের নেতা(নেত্রী), দেশের
নেতা(নেত্রী) কে বানিয়েছে? জামায়াত? না দেশের
লোক? যখন তিনি
দেশের প্রধান তখন তার কথা না শুনলে হবে দেশদ্রোহী, যখন দলের প্রধান তখন তার দলের সাথে কেউ
আলাপ করতে হলে অবশ্যই মহিলার সামনে যেতে হবে... আপনি একটি ইসলামী রাষ্ট্রের প্রধান, আপনার
পার্শ্ববর্তী দেশের প্রধান মহিলা, তিনি আপনার দেশে সফরে এসে যখন আপনার সাথে
দেখা করবেন, তখন আপনি
কি করবেন?
দেশের
সকল আলেম-উলামা বিভিন্ন ইস্যুতে তার সাথে দেখা করেছেন, এটা আলেম
উলামার দোষ না... দোষ তাদের যারা তাকে এই আসনে বসিয়েছে।শেখ
হাসিনার ক্ষেত্রেও একই কথা। দেশের ৯০% ভাগ মানুষের ভোট পায় আ,লীগ আর
বি,এন,পি।
বাকিরা জামায়াত, জাতীয়
পার্টিসহ অন্যান্যরা পায়। নারী নেতৃত্ব হারাম বলেন অথচ যারা তাদের এই আসনে বসায়
তাদের কিছু বলেন না, দোষ শুধু
জামায়াতের! চারদলীয় জোটেও (বর্তমান আঠার দলীয়) তো অন্যান্য ইসলামিক দল আছে, তাদেরও
কিছু বলেন না...
একজন
মহিলা যখন কোন দেশ, সংগঠন বা
দলের প্রধান হন তখন তিনি আর শাব্দিক “মহিলা” থাকেন না, তার পরিচয় তখন দেশ/সংগঠন/দলের প্রধান।
স্মরণ রাখা দরকার যে, জামায়াতের জোট বিএনপির সাথে, খালেদার সাথে নয়। বিএনপি কাকে নেতা/নেত্রী
বানাবে এটা তাদের বিষয়। একজন মুসলিম মহিলা দেশের প্রধান হলে তিনি কি হোন? কাফির? ফাসিক মুশরিক? তার
দলটি/দেশটি ও কি কাফির, ফাসিক, মুশরিক
হয়ে যায়? রাসূল সঃ
দেশের শান্তি শৃঙ্খলার জন্য যেখানে মদিনা সনদে ইহুদিদের সাথে চুক্তি করতে পারেন, মক্কার
মুশরিকদের সাথে হুদাইবিয়ার সন্ধি করতে পারেন।
খালেদা
জিয়া ভাল করে জানেন যে জামায়াত নারী নেতৃত্ব মানেনা, জামায়াতের মহিলা সংগঠন থাকলেও কোন মহিলা
কখনো আমীর হন না... দেশের প্রয়োজনেই তাকে
জামায়াতের সাথে থাকতে হচ্ছে। জামায়াতকেও ইসলামের প্রয়োজনে বিএনপির সাথে থাকতে
হচ্ছে। অন্যান্য ইসলামী দল কখনই বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে সমকক্ষ হবে না, জামায়াতের
মত ইসলামী দল বি,এন,পি এর
সাথে না থাকলে বি,এন,পি কখনই
ইসলামী ইস্যুতে আন্দোলন করতনা। দেখাই যাচ্ছে দেশের প্রধান দুটি দল ইসলাম বিরোধী, যেহেতু
দুই দলেরই প্রধান মহিলা ও বেপর্দা, আর দেশের ৯০% মানুষ তাদেরসমর্থন করে/ভোট
দেয়, সেখানে
দেশের অর্ধেক মানুষকে ইসলামের পক্ষে আনার (পরোক্ষ ও রাজনৈতিকভাবে হলেও) কাজ
জামায়াতই করছে।
যারা
বিরোধিতা করেন তারা এটা চিন্তাও করে না দেশের কোন ইসলামিক দল একক ভাবে নির্বাচিত
হতে পারবে না, আর
জামায়াতের সমর্থন ছাড়া বিএনপি ও জয়ী হতে পারবেনা... জামায়াত খুব ভাল করেই জানে
নৈতিক দিক থেকে আলীগ আর বিএনপির মধ্যে কোন পার্থক্য নাই! শুধু আলীগ ক্ষমতায় থাকলে
দেশের ও ইসলামের যে ক্ষতি হতো তার থেকে দেশকে বাঁচানো যায়! জামায়াতকে ছাড়লে
ক্ষমতায় তো আলীগই যাচ্ছে, নয়কি?
আরও কথা
আছে, কতক্ষণ
পর্যন্ত আনুগত্য করতে হবে তার একটা সীমা আছে। মুসলিম নামধারী শাসক ব্যক্তি খারাপ
হলেও যতক্ষণ না ইসলামী বিধান পালনে বাঁধা না দেবে ততক্ষণ পর্যন্ত তার বাধ্য থাকতে
হবে, পাঁচ জন
মুসলমানের মধ্যে তিনজন একদিকে আর দুইজন আরেক দিকে মত দিলে তিনজনের মতটাই
গ্রহণযোগ্য হবে এবং পাঁচজনের সকলেই এটা মানতে বাধ্য। দেশের প্রধান তখন আর শুধু তার
দলের প্রধান থাকেন না। একজন নারী ঘটনাক্রমে দেশের প্রধান হয়ে গেছেন, এখন আপনি
কি করবেন?
আপনাদের
যা ভাল মনে হয় করেন! শুধুমাত্র ইগোর বশবর্তী হয়ে আরেকজন মহিলাকে, তাও
ইসলাম বিরোধী কাউকে ক্ষমতায় বসাবেন না। যদি মনে করেন জামায়াত একা নির্বাচন করলে
সমর্থন বেশী পাবে, তাহলে
শুনে রাখুন জামায়াত তা করে দেখেছে- "অশিক্ষিত (অন্তত ইসলামী শিক্ষায়)
জনগোষ্ঠী বড়ই নির্বোধ"।