অপ্রিয় সত্য
১০ টি
প্রধান কারণে জামায়াত ইসলাম বাংলাদেশের রাজনীতিতে বেমানান:
১)
জামায়াত একমাত্র বড় দল যার নেতার ছেলে, মেয়ে, স্ত্রী পরবর্তীতে গদিনসীন হয়নি, যা গণতন্ত্রের
চেতনার সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ।
২)
জামায়াত নেতারা মন্ত্রিত্ব পেয়েও ঘুষ দুর্নীতি করতে পারেনি। দেশের সর্বোচ্চ
পর্যায়ে থেকেও ব্যক্তিগত সম্পদ বৃদ্ধি করতে না পারায় তা সাধারণ জনগণকে হতাশ করেছে।
৩)
জামায়াতের প্রত্যেকটি অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান সততা ও দক্ষতার কারণে লাভজনক হিসেবে
চিহ্নিত হয়েছে। দলীয় কোন প্রতিষ্ঠানের এহেন মুনাফা দলীয় দুর্নীতির চেতনার সাথে খাপ
খায়না।
৪) বিগত
দুই বছরে প্রথম সারির সব নেতারা জেলে থাকার পরেও আন্দোলনে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ
চিন্তার বিষয়।
৫)
সরকারী দালাল টিভি চ্যানেল গুলোতে জামায়াত শিবিরের তাণ্ডবের কথা প্রচার করা
সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত লাঠি আর ঢিল ছাড়া কোন অস্ত্র দেখতে না পাওয়া তাণ্ডবের অর্থকে
মলিন করেছে।
৬)
জামায়াতের ছাত্র সংগঠন শিবির চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি,
ইভটিজিং ইত্যাদির সাথে জড়িত নেই এবং সবাইকে নামাজ এবং কুরআন পড়ার
তাগিদ দেয়। ব্রেন ওয়াশ না হলে এরকম আচরণ এই বয়সে সম্ভব নয় বলে জাফর স্যার মনে
করেন।
৭)
জামায়াত একমাত্র দল যার কর্মীরা তাঁদের মাসিক ইনকামের ১-৫ শতাংশ সংগঠনকে দান করেন।
রাজনীতি করার মূল উদ্দেশ্য হল পকেট ভরা। টাকা খরচ করে রাজনীতি করার এই কালচার
রাজনৈতিক চিরাচরিত উদ্দেশ্যকে ভীষণ ভাবে কলঙ্কিত করেছে।
8) অন্য দল থেকে কেউ জামায়াতে যোগ দিতে হলে ফুলের মালা দিয়ে ইলেকশনের
নমিনেশন পায়না বরং সাংগঠনিক প্রক্রিয়ায় স্বাভাবিক ভাবে কর্মী থেকে নেতা পর্যায়ে
উন্নীত হতে হয়।
৯) আজ
পর্যন্ত শুনি নাই জামায়াত শিবিরের দুই দলের মাঝে মারামারি হয়েছে। নমিনেশন নিয়ে
মারামারি তো হয়না বরঞ্চ কেউ নেতা নির্বাচিত হলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
১০)
জামায়াত এবং শিবির আদর্শিক রাজনীতির কথা বলে। বাংলাদেশের মানুষ মনে করেন ইসলাম
শুধু মসজিদে থাকবে রাজপথে চলবে মানুষের হুকুম। বাংলাদেশের জন্য রাজনীতি এবং আদর্শ
বিপরীতার্থক শব্দ। তাইতো জামায়াতের আদর্শিক রাজনীতি বাংলাদেশে বড্ড বেমানান।